নবকণ্ঠ ডেস্ক
জীবিকার তাগিদে প্রবাসীরা আত্মীয় পরিজন ছেড়ে একপ্রকার নির্বাসিত জীবন যাপন করে। প্রচলিত সমাজ, সংসারের বাইরে নতুন একটি সমাজ গড়ে উঠে প্রবাসীদের। দেশে থাকলে একটি আঞ্চলিক গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো যাদের জীবন প্রবাসে এসে বৃহৎ কলেবরে সেটা নতুন এক আনন্দ সৃষ্টি করে।প্রবাসীদের সন্তানরা বিয়ের উপযুক্ত হলে দেশে গিয়ে বিয়ে দেয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে ,অনেক সময় আবার সন্তানেরা ও চায়না দেশে বিয়ে করতে । বাস্তবতার কারনে বিদেশের মাটিতেই আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সন্তানদের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশীয় আমেজ অনুপস্থিত এক সময় থাকলে ও এখন আর সেই সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মত করে বরং কোন কোন সময় বাংলাদেশ কে ছাড়িয়ে যায় আয়োজন । বাংলাদেশের সব অঞ্চলের অধিবাসীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা দেয় যা বাংলাদেশে সম্ভব হয়না।
প্রবাসের মাটিতে দেশীয় ভাবধারায় সম্পন্ন করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো। এখানে উপস্থিত থেকে বয়সে প্রবীনরা বর কনেকে দোয়া করে দেন। আবার বয়োকনিষ্ঠরা আনন্দে মেতে উঠে। এভাবেই প্রবাসীদের সন্তানদের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ্য হয়ে উঠছে প্রতিদিন।
মূলত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে বৈববাহিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে কম্যুনিটির পরিধি বাড়ার কারনে। বর্তমানে ফ্রান্সে বাংলাদেশী অভিবাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্ম সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম প্রজন্মের উত্তরাধিকারী এ দ্বীতিয় প্রজন্মের বিবাহ বাংলাদেশীদের মাঝেই হচ্ছে। একটি শক্তিশালী কম্যুনিটি গড়ে ওঠার অন্যতম শর্তগুলোর মধ্যে বিবাহ ও গুরুত্ব বহন করে।
অতি সম্প্রতি এরকম একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশী যুগলের। ফ্রান্স প্রবাসীসিলেট বিভাগ সমাজ কল্যান পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা এবং হবিগঞ্জের মুরুব্বী সোবহান থানের মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ১ জুলাই রোববার।পাত্র ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জের মুরুব্বী এবং ফেঞ্চুগঞ্জ সমিতি ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল নেতৃবৃন্দ। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতিগুলোর নেতা কর্মীদের পদচারনায় আনন্দঘন পরিবেশে স্থানীয় একটি কম্যুনিটি হলে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিদেশের মাটিতে দেশের আবহে বিয়ের অনুষ্ঠান এখন প্রায়ই হচ্ছে। বিবাহের মাধ্যমে বাংলাদেশী তৃতীয় প্রজন্ম ফ্রান্সে গড়ে ওঠবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।