বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জের তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ওসমান হোসেইন মনির। দীর্ঘদিন থেকে ফ্রান্সের বৃহত্তর শহর তুলুজে সুনামের সাথে বসবাস করে আসছেন। ফ্রান্সে সামাজিক
উন্নয়নমুলক কাজের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ফ্রান্সে বসবাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ভাষা। কিন্তু প্রতিভাবান এ তরুণ ফরাসী ভাষায় দক্ষতা নিয়ে অনুবাদক হিসেবে বাংলাদেশীদের জন্য কাজ করছেন দীর্ঘদিন থেকে।
ভাষাগত দক্ষতা, তারুন্য ও সামাজিক কর্মকান্ডে তার প্রাণবন্ত চেষ্টা দেখে বিমোহিত হয়েছেন ফরাসীরা। স্থানীয় ফরাসী রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলছেন তিনি আপন গতিতে। তার বিশ্বাস ছিল শুধু বাংলাদেশী কমিউনিটি তে সীমাবদ্ধ না থেকে ফরাসী মূলধারার সাথে কাজ করলে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের উপকার আরো বেশী করা যাবে। বিশ্বাসে অটুট থাকা তরুণ বিশ্বাসকে জয় করে ফ্রান্স এ বসবাসরত দক্ষিন এশিয়ার অভিবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় ভুমিকা রেখেছেন বিধায় ফ্রান্স এর তুলুজ শহরের সিন্হর্কাত (মেয়রের) দফতর থেকে তাকে আ্যাম্বেসডর অফ বাংলাদেশ এন্ড ইন্ডিয়ান কন্টিনেন্ট, তুলুজ, ফ্রান্স সিন্হর্কাত হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়েছে, যা ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রথম অর্জন, এবং ইউরোপের বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। বাকেরগঞ্জের এ তরুণের অর্জন বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে ফ্রান্সে।
ওসমান হোসেইন মনির ১৯৮১ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা আলহাজ্জ্ব আব্দুল মান্নান মোল্লা, যিনি বাকেরগঞ্জ থানার কৃষ্ণকাঠি গ্রামে ১৯৪৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। মনিরের পরিবার বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করলেও বাকেরগঞ্জের সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন বিরামহীন।
ফ্রান্সের Université de toulouse le mirail থেকে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণ করেন ইঞ্জিনিয়ার ওসমান হোসেইন মনির, একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে তুলুজে তিনি বেশ পরিচিত। তুলুজ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার ছিল বেশ সুনাম, ইউরোপের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেন।
বাকেরগঞ্জের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে ফ্রান্স সরকারের সাথে কথা বলেছেন, এবং ফ্রান্স বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন নামক সংগঠন নিয়ে কাজ করছেন। উক্ত এসোসিয়েশন এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওসমান হোসেইন মনির, সাধারণ সম্পাদক মিস্টার উইললি বার্দিন (তুলুজ সিটি মেয়রের উপদেষ্টা ও সভাপতি সিন্হর্কেত ) এবং কোষাধ্যক্ষ মিস্টার অন্দরে গালিগো (সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার ফ্রান্স ও সভাপতি জর্নাল দু তুলুজ ) নির্বাচিত করা হয়, যেখানে ফ্রান্স প্রতিনিধি দল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে একটি গ্রামের নামের প্রস্তাব চাইলে ইঞ্জিনিয়ার ওসমান হোসেইন মনির তার স্বপ্নের ঠিকানা আলোকিত বাকেরগঞ্জের নাম প্রস্তাব করেন।