প্যারিসে চার্লি এবদোর পুরাতন অফিসের পাশে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই ঘাতকক সহ মোট নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হামলাকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ বলে আখ্যা দিয়ে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে।
১৮ বছর বয়সী আঘাতকারী ২০১৫ সালে হযরত মুহাম্মাদ (সা) কে নিয়ে চার্লি এবদোর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এই হামলা করে বসে বলে তারা স্বীকার করেছে।
এদিকে চার্লি এব্দোর অফিস যে সেখানে আর নেই, আর ছুরিকাঘাতে আহতরা যে চার্লির কেউ নন এ বিষয়ে হামলাকারি জানতেনই না। ফলে যাদের আঘাত করা হয়েছে ঠিক তারাই যে হামলার লক্ষ্য ছিলেন না তা পরিষ্কার হল।
তবে জার্নালিস্ট মুরেরা এ ঘটনার নিজ চোখে দেখার পর তিনি বলেন, “ইদানিং ২০১৫ সালের সেই ঘটনার বিচারের নিউজ প্রচারের সময় এই ভবনের ছবি বারবার টিভিতে দেখানো হচ্ছিল বলে এটি একটি চিহ্নে পরিণত হয়েছে। তবে চার্লির অফিস এখান থেকে সরানো হয়েছে এ তথ্য হামলাকারীর জেনে থাকার পরও সিম্বোলিক আক্রমন করেছে তারা বলে মনে হচ্ছে”।
২০১৫ সালের সেই ঘটনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, এবারের ঘটনায়, ঘুরিকাঘাত একজন দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। বাকি আটজনকে এ ঘটনায় যোগ থাকার সন্দেহে পরবর্তী দুইবারের অভিযানে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে আঘাতকারীর দুই সহোদর ছোট ভাই রয়েছেন।
এবারের ঘটনায় আহত দুজন পুরষ্কার জয়ী বিখ্যাত টিভি প্রোগ্রাম এজেন্সী প্রিমিয়ার লাইনেস এর কর্মী। এই এজেন্সীর অফিস বর্তমানে চার্লির পুরাতন অফিসের ব্লকেই অবস্থিত। ঘটনার সময় তারা কর্মবিরতিতে বাইরে আসেন ও ছুরিকাঘাতে আহত হন। এতে জখম বেশ মারাত্মক বলা হচ্ছে তবে তারা প্রাণনাশের শঙ্কা থেকে দূরে আছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড দারমানিন এ ঘটনাকে “পরিষ্কার ইসলামিক সন্ত্রাস’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং এর জোর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে যিনি হামলাকারীকে টেনে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে প্যারিসের বিচারিক তথ্যে জানা গেছে।
নিউজ © নবকণ্ঠ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী ও নিষিদ্ধ।